বাংলাদেশের পর এবার ভুটান পুলিশের হাতে আক্রান্ত হবার অভিযোগ উঠলো পাঁচ ভারতীয় ছাত্রের, উত্তেজনা জলপাইগুড়ির ভারত ভুটান সীমান্তে, ঘটনাস্থলে আধা সেনা, রাজ্যে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, জলপাইগুড়ি জেলার নাগরাকাটা থানার অন্তর্গত চাংমারি চা বাগানে রয়েছে পার্শ্ববর্তী দেশ ভুটানে যাবার জন্য একটি নির্দিষ্ট গেট,
সেই গেট দিয়েই শনিবার চাংমারি চা বাগানের পাঁচ ছাত্র অন্যান্য দিনের মতো ভুটানে প্রবেশ করে ছিলো আর পাঁচ জন ভারতীয়ের মতই।
তবে সন্ধের সময় উক্ত পাঁচ ছাত্র চা বাগানে ফিরে এসে অভিযোগ করে বলে ভুটান পুলিশ তাদেরকে শারীরিক ভাবে নির্যাতন করেছে।
এরপরই রবিবার চা বাগানের স্রমিক এবং স্থানিয় বাসিন্ধারা, ভারত ভুটান সীমান্ত গেট বন্ধ করে যাবতীয় যাতায়াত স্তব্ধ করে দিয়ে বিক্ষোভ শুরু করেছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা পুলিশ সুপার উমেশ খান্ডাভালে জানিয়েছেন, স্থানীয় সমস্যা এর সঙ্গে কোনো আন্তর্জাতিক বিষয় যুক্ত নয়,
জলপাইগুড়ি জেলার অধীন ভারত বাংলাদেশ এবং ভারত ভুটান উভয় সীমান্ত স্বাভাবিক রয়েছে, পুলিশের নজরদারি চলছে।
অপরদিকে চাংমারী চা বাগান সংলগ্ন ভুটান সীমান্ত গেটের ঘটনা প্রসঙ্গে জলপাইগুড়ি জেলা পরিষদের প্রাক্তন মেন্টর অমর নাথ ঝা জানান,
পাঁচ ছাত্র নিয়মমাফিক পরিচয় পত্র দেখিয়ে ভুটানে প্রবেশ করেছিল,ফিরে আসার সময় ভুটান পুলিস তাদের আটকে চর থাপ্পড় মারে বলে ছাত্ররা বাড়ী ফিরে অভিযোগ করলে শনিবার রাত থেকেই ভুটানের সঙ্গে যোগাযোগের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়,
রবিবার ও গেট বন্ধ থাকে পাশাপশি ভুটান ভারতের মধ্যে যাতায়াত কারী যানবাহন বন্ধ রাখা হয়েছে,
ঘটনাস্থলে এস এস বি, এবং স্থানিয় নাগরাকাটা থানার পুলিস উত্তেজনা প্রশমনের চেষ্টা করছে।
ঘটনা প্রসঙ্গে আক্রান্ত পাঁচ ছাত্রের প্রতিবেশী কৈলাশ সুব্বা ক্ষোভের সঙ্গে জানান, আমাদের ছেলেরা ভুটানে গিয়েছিল,
সেখানে ভুটানী রক্ষীদের সঙ্গে যে কোনো কারনেই বচসা হয়, হতেই পারে, এই ব্যাপারে ভুটান রক্ষীরা এপারে আমাদের বা এস এস বি কে জানাতো,
কিন্তু ওড়া আমাদের ছেলেদের গায়ে হাত দিয়েছে কেনো, এটার কোনো অধিকার তো ভুটান পুলিশের নেই।
( কৈলাশ সুব্বা).
একই ক্ষোভ উগরে দিয়ে আরেক চাংমারী চা বাগানের বাসিন্দা বলেন, আমাদের ভাইরা ভুটানে যায় এবং কালকেও গিয়েছিল,
সেখান কি এমন হয়েছে যে ভুটান পুলিশ আমাদের ভাইদের মেরেছে, এটা কেনো করবে?( বাইট ২)